কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ বিয়ের দুই বছর পর প্রেমিকের সঙ্গে বিষপান করে প্রেমিকা সুমাইয়া আক্তার। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রেমিক রাজুকে মৃত ঘোষণা করেন। গত বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী কুয়াকাটা উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি বাড়িতে তারা এক সঙ্গে বিষপান করেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্কুলে পড়ার সময় ওই ইউনিয়নের পাঞ্জুপাড়া গ্রামের সোহরাব খানের ছেলে রাজুর সাথে পাশের আলীপুর গ্রামের এমাদুল আকনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। দুই বছর আগে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাশের মাইটভাঙ্গা গ্রামের সেকান্দার হাওলাদারের ছেলে প্রবাসী লোকমান হোসেনের সাথে বিয়ে দেন স্বজনরা। বিয়ের পর থেকে সুমাইয়া শ্বশুর বাড়িতে না থেকে বাবার বাড়িতে বেশি থাকতো। এ সুযোগে পুরনো প্রেমিক রাজুর সাথে ফের সখ্যতা গড়ে তোলে। রাজু পেশায় একজন দর্জি। লোকমানের মা ফিরোজা বেগম বলেন, সুমাইয়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে কথা বলত। পরিবারের লোকজনের ধারণা ছিল স্বামী লোকমানের সাথে সে কথা বলে। সুমাইয়ার স্বামী লোকমান হোসেন বলেন, তথ্য গোপন করে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়ে আমাকে ঠকিয়েছে। সব কিছু বুঝলেও সংসার টিকিয়ে রাখতে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে পরিবারের সদস্যদের নিষেধ করতাম। এ বিষয়ে সুমাইয়া আক্তারের বাবা এমাদুল আকন বলেন, সে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মহিপুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
Leave a Reply